Logo Logo

পণ্য ওঠানো–নামানোয় বাধা: হাতিয়ায় শ্রমিকদের মানববন্ধন


Splash Image

সি-ট্রাকের চালকের অনিয়মের অভিযোগে শ্রমিকদের প্রতিবাদ কর্মসূচি

নোয়াখালীর হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে পণ্য ওঠানো–নামানোর কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে শ্রমিকরা মানববন্ধন করেছেন। সি-ট্রাকের চালকের অনিয়মের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে তাদের দাবি।


বিজ্ঞাপন


নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে পণ্য ওঠানো–নামানোর কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র পল্টনের ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ঘাট–নলচিরা নৌপথে চলাচলকারী এস.টি. সৈবাল সি-ট্রাকের চালক আফজাল হোসেন সব সময় সি-ট্রাকটি পল্টনের সাথে বেঁধে রাখেন। এতে করে পণ্যবাহী নৌকা থেকে মালামাল ওঠানো ও নামানোর সময় শ্রমিকরা মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন। এমনকি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।

শ্রমিকদের দাবি—যাত্রী ওঠানো–নামানোর সময় ছাড়া সি-ট্রাকটি নদীতে নিরাপদ দূরত্বে নোঙর করে রাখলে কারো কোনো অসুবিধা হতো না। তারা জানান, বিষয়টি একাধিকবার চালককে জানালেও তিনি নিয়ম মানতে রাজি নন।

মানববন্ধনে শ্রমিকরা বলেন—

“সি-ট্রাক আমাদের কোনো শত্রু নয়। আমরা চাই, সি-ট্রাক যাত্রী নামিয়ে আবার ফাঁকা সময়ে নদীতে নোঙর করে থাকুক। যাত্রী ওঠানোর সময় এসে ঘাট ব্যবহার করুক। কিন্তু চালক আফজাল মাস্টার সবসময় নিয়ম ভঙ্গ করেন। আমরা শুধু চাই—পল্টন খালি রাখা হোক, যাতে আমরা নির্বিঘ্নে মাল লোড–আনলোড করতে পারি।”

একই অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান ঘাটের ইজারাদার আমিনুল ইসলাম মতিন। তিনি বলেন—

“সি-ট্রাক এখানে এসে যাত্রী নামাবে, উঠাবে—এটাই নিয়ম। কিন্তু অলস সময়ে সেটি নদীতে নোঙর করে থাকার কথা। আমরা সেই নিয়ম বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই। আমাদের কারো সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমাদের দাবি শুধু নিয়ম মেনে চলা।”

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সি-ট্রাকের চালক আফজাল হোসেন বলেন—

“নদীতে সি-ট্রাক নোঙর করা অনিরাপদ। এ কারণেই আমি সবসময় ঘাটে পল্টনের সঙ্গে রাখি।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...