Logo Logo

দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে তাড়াশের দোবিলা মসজিদ


Splash Image

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দোবিলা গ্রামে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছে হাজারো দর্শনার্থীর। অসাধারণ স্থাপত্যশৈলী, আধুনিক লাইটিং ব্যবস্থা ও মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন মসজিদটি দেখতে।


বিজ্ঞাপন


৩৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত এ মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ১০০ ফুট। এতে রয়েছে একটি মিনার এবং ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৬টি গম্বুজ। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন দুই হাজারের বেশি মুসল্লি।

২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর এলাকাবাসীর উদ্যোগে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়। সাত বছরের দীর্ঘ পরিশ্রমের পর ২০২৩ সালের ১৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় স্বপ্নের এ মসজিদটির। উদ্বোধনের পর থেকেই প্রতিদিন স্থানীয় মুসল্লিদের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে পুরো এলাকা।

দিনের আলো, সন্ধ্যার মুহূর্ত ও রাতের অন্ধকার—প্রতিটি সময়ে মসজিদটির সৌন্দর্য ভিন্ন রূপে ধরা দেয়। তবে সন্ধ্যার পর লাইট জ্বলে উঠলে ফুটে ওঠে এর দৃষ্টি-নন্দন রূপ। আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে এর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার। মসজিদে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে সেন্সরের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জ্বলে ওঠে আলো এবং চালু হয় এসি।

চাটমোহর থেকে আসা দর্শনার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, “এরকম সুন্দর মসজিদ আমি কখনও দেখিনি। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না।”

স্থানীয় মুসল্লি মো. আতাউর রহমান জানান, পুরাতন মসজিদে জায়গার অভাবে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে সমস্যা হতো। এখন বড় ও আধুনিক এই মসজিদে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ পড়তে পারছেন সবাই এবং দূর-দূরান্ত থেকেও মুসল্লিরা এখানে আসছেন।

দোবিলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. ফজলু রহমান বলেন, “আল্লাহর ইচ্ছা ও গ্রামবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এতো সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। এটি ছিলো আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। অবশেষে সেই স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটেছে। এজন্য আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করছি।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু মসজিদ নির্মাণ করলেই হবে না। এর নান্দনিকতা ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। গ্রামের সবাইকে নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে এবং মসজিদমুখী হতে হবে।”

বর্তমানে দোবিলা গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ শুধু নামাজ আদায়ের জায়গাই নয়, বরং ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীদের কাছে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও সৌন্দর্যের এক অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...