বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক বগুড়ার সুপারিশের পর তদন্ত কমিটি এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪) (খ) ও (ঘ) ধারা অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা আদেশটি হাতে পেয়েছি। রবিবার থেকে এটা কার্যকর করা হবে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত মোঃ আবুল কালাম আজাদ শেরপুর উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তিনি স্থানীয় বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর রাজনীতির সাথে যুক্ত। গত ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে তিনি জয় লাভ করেন। এরপর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ করে আসাছিলেন ইউপি সদস্যরা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ট হওয়ার কারনে তারা প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারেননি। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৮ জন ইউপি সদস্য তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা লুটপাটের লিখিত অভিযোগ করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...