ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার আলেহান্দ্রো দারিও গোমেজ, যাকে সবাই ‘পাপু গোমেজ’ নামে চেনে, জীবনের কঠিনতম সময় পেরিয়ে আবারও মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোটখাটো গড়নের হলেও মাঠে আক্রমণভাগের বিভিন্ন পজিশনে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ জিতেছেন এই ফুটবলার। তবে ২০২৩ সালে একটি নিষেধাজ্ঞা তাঁর ক্যারিয়ারকে থামিয়ে দিয়েছিল।
গোমেজের বিপত্তি শুরু হয় ২০২২ বিশ্বকাপের আগে। সে সময় তিনি সেভিয়ায় খেলছিলেন এবং অসুস্থ বোধ করায় দ্রুত সুস্থ হওয়ার আশায় ছেলের কাশির সিরাপ খেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সিরাপেই ছিল বিটা২-অ্যাড্রেনার্জিক নামক নিষিদ্ধ উপাদান। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই ওষুধ খাওয়ার পর ডোপ টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। এর জেরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে ফিফা। তখন তিনি ইতালির ক্লাব মোনৎসার খেলোয়াড় ছিলেন।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর অবশেষে মুখ খুলেছেন গোমেজ। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল ‘দে ভিসিতান্তে’-তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি শাস্তিকে অবিচার বলে আখ্যায়িত করেন। তাঁর মতে, কেউ কোকেন বা গাঁজা সেবন করলে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা হয়, অথচ ভুলবশত কাশির সিরাপ খেয়ে তাঁকে দুই বছরের জন্য মাঠের বাইরে রাখা হয়েছে। এই সময়টা তাঁর কাছে ছিল দুঃস্বপ্নের মতো—ফুটবল দেখা বন্ধ করে দেন, নিজেকে আলাদা করে ফেলেন এবং পরে মানসিক চাপ সামলাতে মনোবিদের সহায়তা নেন।
গোমেজের ক্লাব সেভিয়া বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেভাগেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। এরপর দীর্ঘ সময় কোনো ক্লাব তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে মোনৎসা তাঁকে ফ্রি ট্রান্সফারে দলে ভেড়ায়। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানে খেলতে পারেননি। এসময় সমালোচকদের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি, যারা ধরে নিয়েছিলেন তাঁর ক্যারিয়ার শেষ। গোমেজ বলেন, কেন কয়েকজন স্যুট পরা মানুষ ঠিক করবে তাঁর অবসরের সময়, যখন তিনি এখনো খেলার জন্য প্রস্তুত।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...