Logo Logo

‘গরিবের পেটে লাথি মারবেন না’: পারমিটের দাবিতে সিলেটের রাজপথে হাজারো রিকশা চালক।


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত

অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের বিক্ষোভে দিনভর উত্তাল ছিল সিলেট নগরী। পারমিটের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চালকরা সড়ক অবরোধ, সিটি করপোরেশনের (সিসিকি) প্রধান ফটক ভাঙচুর এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের মতো ঘটনায় জড়ালে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।


বিজ্ঞাপন


‘সিলেট ব্যাটারি চালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে সকাল থেকে চালকরা নগরীর আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে তারা একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চৌহাট্টা পয়েন্টে বাঁশ ফেলে সড়ক অবরোধের চেষ্টা চালান। যদিও পুলিশের বাধায় তা সফল হয়নি, তবে চালকদের ‘পারমিট চাই’, ‘রিকশা চালাতে দাও’, ‘গরিবের পেটে লাথি মারো না’—এমন নানা স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রাজপথ।

দুপুরের দিকে মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে এগোতে থাকে। এক পর্যায়ে কয়েকশ উত্তেজিত চালক সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন এবং নগর ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী এসে পৌঁছালে পরিস্থিতি শান্ত হতে শুরু করে। পৌনে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও সিসিকি চত্বর থেকে আন্দোলনকারীরা সরে যান।

অভিযানের প্রেক্ষাপট:

মূলত গত তিন দিন ধরে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এই অভিযানে শতাধিক যানবাহন আটক করা হয়, যার মধ্যে বড় অংশই ব্যাটারিচালিত রিকশা। বুধবারের অভিযানে আটক ৬৯টি গাড়ির মধ্যে ৪৪টিই ছিল ব্যাটারিচালিত রিকশা। এছাড়া নগরীর শামীমাবাদে ১০টি গ্যারেজের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

আন্দোলনরত চালকদের অভিযোগ, কোনো ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা বা পারমিট না দিয়েই তাদের রিকশা আটক করে পেটে লাথি মারা হচ্ছে। পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু কেড়ে নেওয়ায় তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...