বিজ্ঞাপন
শেখ ফরিদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে ছাত্রদলের চাটখিল কামিল মাদরাসা শাখার নবগঠিত কমিটির একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, “এটা দেখতে পেলাম। এ ব্যাপারে আমি অবগত ছিলাম না। আমি ২০২০ সালে চাটখিল কামিল মাদরাসা থেকে বিদায় নিয়েছি। তাই এই কমিটিতে আমার নাম থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সর্বোপরি আমি ইসলামী ছাত্রশিবিরের রানিং সাথী এবং চাটখিল উত্তর থানা শাখার অফিস সম্পাদক। তাই এই কমিটি সম্পূর্ণ আমার অগোচরে হয়েছে এবং আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
বর্তমানে ফরিদ নোয়াখালী সরকারি কলেজে অধ্যয়ন করছেন। এর আগে ২০২০ সালে তিনি চাটখিল কামিল মাদরাসা থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। একইসঙ্গে তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের চাটখিল উত্তর থানা শাখার অফিস সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয় যখন একটি ম্যাসেঞ্জার স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই স্ক্রিনশটে দেখা যায়, শেখ ফরিদ নিজেই ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এ তথ্য প্রকাশের পর ছাত্রদলের ভেতরে-বাইরে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়।
কমিটির সভাপতি ফাহাদ হোসেন বলেন, “ফরিদ নিজেই তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি যে শিবিরের সঙ্গে যুক্ত—এ তথ্য গোপন করেছেন।”
এদিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আলম রিয়াদ জানান, “আমরা মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করেই কমিটি করি। কেউ যদি তথ্য গোপন করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সম্প্রতি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সারাদেশে একযোগে ৭০টি নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে চাটখিল কামিল মাদরাসা শাখার কমিটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
প্রতিবেদক- মোঃ হাসান, চাটখিল, নোয়াখালী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...