বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালে ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন আলী আকবর চৌধুরী। ধীরে ধীরে জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে নেতৃত্ব দেন এবং দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পরে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় প্রচারণায় অংশ নিয়ে তরুণ ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিতি পান।
২০১৫ সালে উন্নত জীবনের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে গেলেও রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াননি তিনি। সেখানে বিএনপিকে সংগঠিত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন এবং নিউক্যাসল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। দলের প্রতি অটল বিশ্বস্ততার কারণে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সব সময় উপস্থিত থেকেছেন।
আলী আকবর চৌধুরী শুধু রাজনীতিক নন, তিনি একজন সমাজকর্মীও। দিরাই-শাল্লার সাধারণ মানুষের দুর্দিনে তিনি বারবার ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। করোনা মহামারি, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে, কখনো আবার তারেক রহমানের নির্দেশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
দলীয় নেতাকর্মীরা যখন হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে দেশে ফেরেননি, তখনও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে আন্দোলন-সংগঠনে ভূমিকা রাখেন। মামলায় জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। দেশে থাকাকালীন সময়ে একাধিকবার কারাবরণ করেন এবং ১১ দিনের রিমান্ডেও ছিলেন। অভিযোগ আছে, তাকে ক্রসফায়ারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
ব্যক্তিগত জীবনে আলী আকবর চৌধুরী সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরশহরের সুজানগর গ্রামের মো. হ্বাজী আরিম উল্লা চৌধুরী ও জফুরা খাতুন চৌধুরীর সন্তান। তিন পুত্র সন্তানের জনক তিনি। রাজনীতি ও সমাজসেবার পাশাপাশি ব্যবসায়ও সফলতা অর্জন করেছেন।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রসঙ্গে আলী আকবর চৌধুরী বলেন, “শৈশব থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতি করেছি। দিরাই-শাল্লার মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থাকার কারণে তারা আমাকে আপন করে নিয়েছে। এবার যদি দল আমার প্রতি আস্থা রাখে, তবে সুনামগঞ্জ-২ আসনটি আমি বিএনপি চেয়ারপার্সন মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দিতে চাই।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...