বিজ্ঞাপন
সাবেক তিনবারের সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন এবং কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সরকার বিপ্লব।
চার নেতাই দলীয় কার্যক্রম, সভা-সমাবেশ ও নির্বাচনী প্রচারণায় নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল দাবি করছেন, তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া, বর্তমানে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং সর্বস্তরের জনগণের ভালোবাসা অর্জনের কারণে এবারও তিনি মনোনয়ন পেতে আত্মবিশ্বাসী। এ ছাড়া ও তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে মনোনয়ন বিষয়ে শতভাগ আশ্বস্ত করে বলেছেন আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে-ই মনোনয়ন দিবেন অন্য কাউকে দিবেন না।
অন্যদিকে, বিএনপির সহ-সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত সৈনিক ও রাজপথের পরীক্ষিত নেতা হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বয়োবৃদ্ধ থেকে তরুণ, নারী-পুরুষ— সব শ্রেণির মানুষের মুখে তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে, যা তাকে মনোনয়নের অন্যতম দাবিদার করে তুলেছে। তিনিও দলীয় সভা-সমাবেশে মনোনয়ন এর বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে শতভাগ আশ্বস্ত করছেন।
এদিকে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির দুর্দিনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে পরাজিত হলেও একাই মাঠে থেকে দলের হাল ধরেছিলেন। এ অভিজ্ঞতা ও ত্যাগের কারণে তিনি নিজেকে মনোনয়নের উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে আত্মবিশ্বাসী। তিনিও মনোনয়ন বিষয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে আশ্বস্ত করে বলেছেন দুর্দিনে যেহেতু আমি নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম দলের চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকেই মনোনয়ন দিবেন।
তরুণ নেতৃত্বে এগিয়ে আসা কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন সরকার বিপ্লবও কৃষক দলের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে দলীয় মনোনয়নের আশায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এ ৪ জন হেভিওয়েট প্রার্থী ছাড়াও নতুনভাবে এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে লায়ন এডভোকেট এহতাসামুল ইসলাম আকন্দ ইকবাল এর নামও শোনা যাচ্ছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে চারজনকেই শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কে মাঠে নামবেন, তা নির্ধারণ করবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...