বিজ্ঞাপন
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সকালেই উপজেলার প্রকল্প বাজার এলাকার প্রধান সড়কের পাশে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জাফর উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকার মোহাম্মদ জাকের হোসেনের ছেলে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, গত ১০-১২ দিন আগে জাফর বিএনপি নেতা সোহেলের বাড়িতে কাজ করতেন। তবে পাঁচ দিন আগে বাড়ির মালিককে না জানিয়ে চলে যান। যাওয়ার সময় তারা জানিয়েছে যে, জাফর আলমারির চাবি, মোবাইল চার্জার ও নগদ ১১শত টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন।
পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় আলী বাজার এলাকা থেকে জাফরকে ধরে মোটরসাইকেলে করে প্রকল্প বাজারে নিয়ে আসেন সোহেল মাহমুদ। সেখানে জাফরের বাবাকেও ডেকে আনা হয়। পরে জাফরের বাবাকে চলে যাওয়ার পর তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় এবং হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
তবে চানন্দি ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি সোহেল মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “স্থানীয় এনসিপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে আমার বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে আমাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাফরের বাবাকে খবর দিয়ে আনা হয়েছিল, পরে বাবা চলে গেলে আমি জাফরকেও বাবার সঙ্গে আসার জন্য ছাড়ি দিয়েছিলাম। এরপর কী ঘটেছে, আমি জানি না। সকালে মৃত্যুর খবর শুনেছি।”
হাতিয়ার মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লেয়ারাকত আলী জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, “শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর ক্ষেত্রে রশির দাগ চন্দ্রাকৃতির হওয়া উচিত। কিন্তু মৃতদেহে রশির দাগ গোলাকার।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রশাসনের তদন্ত চলছে, মৃতদেহ ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর হত্যার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...