বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির শেজাইয়া, আল তুফাহ ও জেইতুন এলাকা, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের পূর্ব ও দক্ষিণাংশ থেকে ইতোমধ্যে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, পর্যায়ক্রমে গাজার অন্যান্য অঞ্চল থেকেও সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
সেনা প্রত্যাহারের পর নিজ বাসভূমিতে ফিরে যেতে শুরু করেছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিরা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ গাজার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে নিজেদের এলাকায় ফিরে গেছেন। যানবাহনের অভাব ও তেলের সংকটের কারণে অধিকাংশ ফিলিস্তিনি দীর্ঘ পথ হেঁটেই গাজা সিটির দিকে রওনা হয়েছেন।
একইভাবে দক্ষিণ গাজা থেকে গাজার মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাংশে যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন, তারাও ফেরার পথে রয়েছেন। বাড়ি ফেরার জন্য তাঁরা মূলত সমুদ্রতীরবর্তী আল রশিদ স্ট্রিট ও সালাহ আল দীন রোড ব্যবহার করছেন।
দুই বছরের দীর্ঘ অভিযানে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, বাকি ১০ শতাংশ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। অধিকাংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনই ঘরবাড়ি। ফলে যেসব ফিলিস্তিনি ফিরে গেছেন, তাঁদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের পাশে তাঁবু খাটিয়ে বসবাস শুরু করেছেন।
গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকার পুনর্গঠন, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সহায়তা বিতরণ এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার অভিযানে ইতোমধ্যে পাঁচ হাজারেরও বেশি মিশন শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা দেন। ইসরায়েল ও গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস উভয়পক্ষ সম্মতি দিলে ১০ অক্টোবর শুক্রবার থেকে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলা চালায়, যাতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হন। ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর এটি ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। পরদিন ৮ অক্টোবর থেকে হামলার জবাব দিতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। সেই অভিযান চলাকালীন এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...