বিজ্ঞাপন
এর আগে অধ্যক্ষের আগমনের খবরে মাদরাসার মাঠে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি শান্ত করতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লাহ শাহি জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামি ফাউন্ডেশনের গভর্ণর সাইয়েদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী।
মাদরাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে কামিল পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এখানে ৪৫ জন এমপিও ও নন-এমপিও শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন।
গত ১৬ অক্টোবর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আক্তার হোসেনের উপস্থিতিতে মাদরাসার দুই পক্ষের মধ্যে ৫ শর্তে লিখিত চুক্তিনামা সম্পাদন করা হয়। চুক্তির প্রধান শর্তগুলো হলো:
১। অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ মজুমদার ২০ অক্টোবর থেকে নিয়মিত অফিস করবেন। অফিস চলাকালীন সময়ে কোনো ডকুমেন্ট সৃজন বা ধ্বংস করতে পারবেন না। এছাড়া কমিটির সদস্যদের সম্মতি ব্যতীত একক সিদ্ধান্তে কাউকে নিয়োগ বা প্রত্যাহার করতে পারবেন না। মনিটরিংয়ের জন্য ২য় পক্ষের মনোনীত একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
২। ১৬ অক্টোবর থেকে ১ মাসের মধ্যে মাদরাসার আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিট ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
৩। উভয় পক্ষ ছাত্র/ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে একত্রে গঠনমূলক বক্তব্য প্রদান করবে এবং প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেবেন না।
৪। অধ্যক্ষের আচরণ মনিটরিং ও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের জন্য উভয় পক্ষ ২ জন করে ৪ জন প্রতিনিধি এবং ২ জন পুলিশ অফিসার মনোনীত করবে।
৫। উল্লিখিত শর্তগুলো মেনে চলা বাধ্যতামূলক; ব্যতীত কোনো পক্ষ অঙ্গীকারনামা ভঙ্গ করলে তা লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন। তারা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের বেতন নিয়ে অনিয়ম, আয়-ব্যয়ের অডিট না করা, শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, সরকারি বই বাজারে বিক্রি এবং বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছিলেন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সাঈয়্যেদ আনোয়ার হোসেন তাহের জাবেরী আল-মাদানি শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট দলের মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করা হবে এবং তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিটির সদস্য তাহের জাবেরী বলেন, “অধ্যক্ষ গত দশ বছরে কোনো অডিটের সুযোগ দেননি। ঘটনার পর তিনটি অডিট দল গঠন করা হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এই লিখিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
অধ্যক্ষ আব্দুল আজিজ মজুমদার জানান, “গত বছরের ৫ আগস্টের পর একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওই চক্র শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে আন্দোলন করছে।”
প্রতিবেদক- মাহামুদ সানী, লক্ষ্মীপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...