Logo Logo

চট্টগ্রামে ব্যানার টানানো নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবিযুক্ত ব্যানার টানানো ও সরানোকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।


বিজ্ঞাপন


এই সহিংসতায় মো. সাজ্জাদ (২৬) নামে এক যুবদলকর্মী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন, যাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে মেয়রের ছবিযুক্ত একটি ব্যানার সরানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং কয়েকজন আহত হন। নিহত যুবদলকর্মী সাজ্জাদের বুকে গুলির আঘাত ছিল। চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যানার সরানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে, স্থানীয় একটি সূত্র ভিন্ন তথ্যও দিয়েছে। সূত্রটি জানিয়েছে, এলাকাটিতে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা–সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি ব্যানার টানানো নিয়ে এই বিরোধ আরও তীব্র হয় এবং সোমবার রাতে ব্যানার সরানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই তীব্র সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মিনহাজুল ইসলাম নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মধ্যরাতে হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে তিনি কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যেতে দেখেন।

চমেক হাসপাতালে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় দিয়ে জিএম সালাউদ্দিন আসাদ নামে একজন দাবি করেন, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। তার অভিযোগ, মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে তাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়, এতে সাজ্জাদ মারা যান।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা এমদাদুল বাদশা বলেন, হামলাকারীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তিনি দাবি করেন, তারা বিএনপির কেউ নন, আগে যুবলীগ করত এবং ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ও আহতদের চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...