বিজ্ঞাপন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩ হাজার ২ শত ফুট অবৈধ গ্যাস সংযোগ পাইপ বিচ্ছিন্ন ও আরও ৩ হাজার ফুট পাইপলাইন অকার্যকর করা হয়েছে। এসময় ৫ জন অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীকে মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিজেশ্বর গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকার সুযোগে একটি অসাধু চক্র গোপনে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এরই অংশ হিসেবে বিজেশ্বর এলাকায় একাধিক বাড়িতে লুকিয়ে বসানো ছিল অবৈধ পাইপ লাইন। অভিযানে প্রায় ৩ হাজার ২ শত ফুট পাইপ কেটে উচ্ছেদ করা হয় এবং পৃথক তিনটি স্থানে ৩ হাজার ফুট পাইপের মধ্যে সিমেন্ট ঢেলে তা স্থায়ীভাবে অকার্যকর করা হয়।
বাখরাবাদ গ্যাসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিকুল হক বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো আমরা নিয়মিতই বিচ্ছিন্ন করছি। কিন্তু কিছু অসাধু চক্র আবারও নতুন করে সংযোগ দিয়ে দেয়, ফলে সম্পূর্ণভাবে এ অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবুও আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, অবৈধ সংযোগের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে এবং গ্যাসচাপ কমে সাধারণ ভোক্তার ভোগান্তি বাড়ছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন জানান, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
অভিযানের সময় এতে অংশ নেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিডিসিএল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) প্রকৌশলী শফিকুল হক এবং কুমিল্লা প্রধান কার্যালয়ের ভিজিল্যান্স টিমের উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর বাদশা এবং বাখরাবাদ গ্যাসের ভিজিল্যান্স টিমের সদস্য, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে জব্দ করা পাইপসমূহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের জিম্মায় নেওয়া হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
