Logo Logo

ব্যাটিং ব্যর্থতায় হতাশ লিটন, বোলারদের কাছে চাইলেন ‘ক্ষমা’


Splash Image

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে যেন এক অদ্ভুত চিত্রনাট্যের মঞ্চায়ন হলো। বোলারদের বীরোচিত প্রত্যাবর্তনের পর ব্যাটসম্যানদের এমন অসহায় আত্মসমর্পণ খুব কমই দেখা যায়। মাত্র ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থেমে গেল ১৩৫ রানে। ১৪ রানের এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খোয়ালো স্বাগতিকরা।


বিজ্ঞাপন


ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস এই হারের জন্য সরাসরি ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় অকপটে তাদের কাছে 'দুঃখপ্রকাশ' বা 'সরি' বলেছেন তিনি।

অথচ বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ১১ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ১০৫ রান। যখন মনে হচ্ছিল ক্যারিবীয়দের ইনিংস ১৯০-২০০ ছাড়া থামবে না, ঠিক তখনই দৃশ্যপটে আসেন নাসুম আহমেদ। টানা দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তিনি।

নাসুমের দেখানো পথে হেঁটে রিশাদ হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানরা চেপে ধরেন উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে সফরকারীদের ইনিংস শেষ পর্যন্ত ১৪৯ রানেই গুটিয়ে যায় (৯ উইকেটে)। শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৪ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারায় তারা। এমন পারফরম্যান্সের পর বোলাররা যখন স্বস্তিতে, তখন ব্যাটসম্যানরা সেই স্বস্তি হতাশায় পরিণত করেন।

ম্যাচের শুরুতে এই উইকেটে ১৮০ রানও তাড়া করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছিলেন লিটন। তাই ১৫০ রানের লক্ষ্য পেয়ে টাইগারদের খুশিই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নামার পরই সেই খুশি উবে যায়। শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।

ব্যাটসম্যানদের এই ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেও নিয়েছেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, “গত দুই-তিন সিরিজেই আমাদের বোলাররা সত্যিই ভালো করছে। সব বোলারের প্রতি আমি দুঃখিত, তারা আমাদের জন্য অসাধারণ কাজ করেছেন। কিন্তু আমরা ম্যাচ জিততে পারিনি।”

লিটন আরও যোগ করেন, “১৫০ মোটেও বড় লক্ষ্য ছিল না, বিশেষ করে চট্টগ্রামে। কিন্তু যখনই আমরা একটু থিতু হয়েছি, তখনই আউট হয়ে গেছি। বিশেষ করে আমি, আমার অন্তত ১২-১৩ ওভার ব্যাট করা উচিত ছিল। আমাকেও উন্নতি করতে হবে। কারণ আমি টিকে থাকলে ম্যাচ আগেই শেষ হতে পারত।”

এদিন ব্যাটসম্যানরা একাধিক 'লাইফ' পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। খোদ লিটনই ২০ রানে জীবন পেয়েও আউট হয়েছেন ২৩ রানে। সাইফ হাসান তিন রানে জীবন পেয়ে আউট হন পাঁচ রানে। তাওহিদ হৃদয় পাঁচ রানে জীবন পেয়ে আউট হয়েছেন মাত্র ১২ রানে। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম, যিনি ৪৪ রানে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েও ৬১ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন। কিন্তু দলের হার এড়াতে তা যথেষ্ট ছিল না।

লিটন প্রতিপক্ষের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিতে না পারার আক্ষেপ করে বলেন, “ওরা আজকে ভালো বোলিং করলেও ফিল্ডিং খুব ভালো ছিল না। আগের ম্যাচে তারা দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছিল। আজকে তত ভালো ছিল না, যা আমাদের জন্য ভালো ছিল। কিন্তু আমরা স্কোর তাড়া করতে পারিনি।”

এই হারের ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ তে পিছিয়ে পড়ল। সিরিজের শেষ ও হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচটি শুক্রবার একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...