Logo Logo

তাড়াশে খাল-বিলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুল


Splash Image

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর, ডোবা- নালায় ফুটেছে কচুরিপানা ফুল। এ ফুল ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা।


বিজ্ঞাপন


সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর, ডোবা- নালায় ফুটেছে কচুরিপানা ফুল। এ ফুল ফুটে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা।

চলনবিলে বিভিন্ন খাল-বিলে, ডোবা ও জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুঁটে আছে অযত্নে বেড়ে ওঠা সবুজের মাঝখানে সাদা, বেগুনি ও হালকা গোলাপী রঙে কচুরিপানা ফুল। দেখলে মনে হবে যেন ফুলের চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে জলাশয়গুলো। এ সব ফুলের অপরুপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন ফুলপ্রেমীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরিপানার ফুলগুলো। সড়কের পাশে এই অসাধারণ কচুরিপানার মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ছে সবার। দু-চোখ যে দিকে যায়, শুধুই মনোমুগ্ধকর কচুরিপানার ফুল দেখে মানুষের হৃদয় জড়িয়ে যায়।

প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যে হারিয়ে যায় মন। যেন প্রকৃতি সেজেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে। পানির উপর বিছানো সারি সারি সবুজ পাতা আর ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। দূর থেকে মনে হয় কেউ যেন সবুজ চাঁদরে ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে।

সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরি ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই তুলছেন ছবি। ছবির ক্যানভাসে একই ফ্রেমে আবদ্ধ হচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। খাল বিল ও জলাশয়ে ফুল ফুটে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা খাল-বিল কিংবা নদী-নালা থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে।

জানা যায়, কচুরিপানা মুক্তভাবে ভাসমান এক ধরনের বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। দক্ষিণ অ্যামেরিকায় এর আদি নিবাস। বাংলাদেশের সকলের কাছে সুপরিচিত। বর্ষাকালে অত‍্যধিক পরিমাণে জন্মায় ও দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওর, পুকুর-জলাশয় ভরে তুলে।

সৌন্দর্য বিলানোর পাশাপাশি এই উদ্ভিদটি মানুষ ও প্রকৃতির নানা উপকারে আসে। এটি দেশীয় মাছের বংশবিস্তার ও জলাশয়ের পানি ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে থাকে। কিছু কিছু মাছ এটিকে খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করে। এটি থেকে তৈরি জৈব সার কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, কচুরিপানা ফুলের গন্ধ না থাকলেও এর সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে, তাই বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমরা এ ফুল দেখতে এসেছি, দেখলাম ছবি তুললাম অনেক ভালো লাগলো।

ফুল প্রেমী প্রধান শিক্ষক মোঃ জহুরুল ইসলাম জানান, মুক্ত জলাশয়ে এক সঙ্গে ফুল ফুঁটে থাকার যে সৌন্দর্য তা অন্য কোনো ফুল থেকে পাওয়া যায় না। এই ফুলের পাপড়ি নকশাখচিত হওয়ায় এর প্রেমে পড়তে বাধ্য হয় মানুষ। কচুরিপানা ফুল গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি ফুল।

কৃষক সোলেমান হোসেন জানান, আমার জমিতে অনেক কচুরিপানার ফুল জন্মেছে সেই ফুল দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন ছুটে আসতেছেন, বর্তমানে পানি কমার কারণে কচুরিপানা জমির মধ্যে স্তুপ দিয়ে রেখেছি, যেটি আমাদের সার হিসেবে কাজে লাগবে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শর্মিষ্ঠা সেন গুপ্তা বলেন, কচুরিপানা এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ এবং খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। কচুরিপানার মাধ্যমে জৈব সার প্রস্তুত করে কৃষিতে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছে। এ ছাড়াও এই উদ্ভিদটি গো খাদ্যের চাহিদা মেটানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...