ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে। তিন অঙ্কে পৌঁছাতে মুশফিকের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান। ১৮৭ বলে পাঁচ চারে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকা এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার সুযোগ বুঝে তুলে নেন ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে ক্রিজে থাকা লিটন দাস ব্যাট করছিলেন ৮৬ বলে ২ চারে ৪৭ রানে। তাদের জুটিতে ১৬০ বলে আসে ৯০ রান।
দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান—সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক—ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দুই অঙ্ক ছুঁতেও ব্যর্থ হন। তবে মুমিনুলের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়েই দলকে দাঁড় করান মুশফিক; পরে লিটন দাসের সঙ্গে আরেকটি মূল্যবান জুটি গড়ে ইনিংসকে নিয়ে যান দৃঢ় অবস্থানে।
শততম টেস্টে সেঞ্চুরির তালিকায় মুশফিকের আগের নামগুলো বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কলিন কাউন্ড্রে প্রথম এই রেকর্ড গড়েন। এরপর ১৯৮৯ সালে ভারতের বিপক্ষে একই অর্জন করেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন উইন্ডিজ কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজ। এরপর আসেন ইংল্যান্ডের আলেক স্ট্রুয়ার্ট।
২০০৫ সালে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক ভারতের বিপক্ষে শততম টেস্টে খেলেন ১৮৪ রানের ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং এই তালিকায় নাম লেখান দুইবার—২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শততম টেস্টের উভয় ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১৩১ রান। আরেক প্রোটিয়া তারকা হাশিম আমলা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে শততম টেস্টে খেলেছিলেন ১৩৪ রানের ইনিংস।
ইংলিশ তারকা জো রুট ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার এই তালিকায় আরও উজ্জ্বলভাবে। নিজেদের শততম টেস্টে তাঁরা করেন দ্বিশতক। রুট ২০২১ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইতে এবং ওয়ার্নার ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেন ঠিক ২০০ রানের ইনিংস।
মুশফিকের সেঞ্চুরি তাই শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়—বিশ্ব ক্রিকেটের এক অনন্য ইতিহাসে বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল সংযোজন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...