বিজ্ঞাপন
ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৬৬.৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৪,৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪,৭০৩ পয়েন্ট। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ ২৬.৫১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ১,৮৭৮ পয়েন্টে, এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪১.৩৩ পয়েন্ট বাড়ে ১,০১৮ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৬৯টি কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৭টির দর বৃদ্ধি পেয়েছে, ১৮টির কমেছে, চারটির অপরিবর্তিত ছিল এবং ৪৪টির কোনো লেনদেন হয়নি। সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক।
অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধি পেয়ে বাজার মূলধন সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৭,৮২০ কোটি টাকা বা ১.১৬ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩,৯৭৪ কোটি টাকা, যা শেষ কার্যদিবসে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮১,৭৯৪ কোটি টাকায়।
দৈনিক গড়ে শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন বেড়ে ৩৯৭ কোটি ৫৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১২.১৯ শতাংশ বেশি। খাতভিত্তিক লেনদেনে প্রকৌশল খাত শীর্ষে ছিল, যা মোট লেনদেনের ১২.০১ শতাংশ দখল করেছে। তার পরে ওষুধ ও রসায়ন খাত ১১.৬৬%, বস্ত্র খাত ১১.২২%, ব্যাংক খাত ১০.১৯%, এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত ১০.০৫% লেনদেনের শীর্ষে ছিল।
সপ্তাহের প্রতিটি খাতে ইতিবাচক রিটার্ন লক্ষ্য করা গেছে, দুটি খাত ব্যতীত। কাগজ ও মুদ্রণ খাত সর্বোচ্চ ১৩.৩৯% ইতিবাচক রিটার্ন প্রদর্শন করেছে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত ৯.৭১%, সিরামিক খাত ৮.২৮%, এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত ১২.০৫% ইতিবাচক রিটার্ন করেছে। অপরদিকে টেলিযোগাযোগ খাতে ০.৯% ও ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.৫% নেতিবাচক রিটার্ন দেখা গেছে।
দেশের আরেকটি প্রধান পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) তেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। সিএসপিআই সূচক ১.৮০% বেড়ে ১৩,৬৪২ পয়েন্টে এবং সিএসসিএক্স সূচক ১.২০% বৃদ্ধি পেয়ে ৮,৪১৯ পয়েন্টে পৌঁছেছে। সিএসইতে গত সপ্তাহে ২৭৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডে লেনদেন হয়েছে, যার মধ্যে ১৯৬টির দর বেড়েছে, ৬৮টির কমেছে, এবং ১১টির অপরিবর্তিত ছিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...