বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় কলাপাড়ায় এ বছরের সর্বনিম্ন ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের দিনমজুর ও খেটে-খাওয়া মানুষেরা। কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় আয়ও কমে গেছে তাদের।
উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের অবস্থা বেশি নাজুক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেশিরভাগ রোগীই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও জ্বর নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
নীলগঞ্জ এলাকার গৃহবধূ রহিমা বেগম জানান,“শীত বাড়ার সাথে সাথেই আমার বাচ্চা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে এসে দেখি আরও অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি।”
দিনমজুর আব্দুল রহিম শীতের প্রভাবে কর্মসংকটের কথা জানিয়ে বলেন,“শীতে আমাগো কামকাইজ কমে গেছে। শীত বাড়লে তো আরো ভোগান্তি হবে।”
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে রাত ও ভোরে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। তাই শিশু ও বয়স্কদের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে স্থানীয় বাজারে সামান্য শীতের পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। অনেকেই সময়মতো প্রস্তুতি না নেওয়ায় এখন পড়তে হচ্ছে অতিরিক্ত খরচের মুখে। শীতপ্রবাহ আরও জাঁকিয়ে বসলে তা কলাপাড়ার শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...