বিজ্ঞাপন
সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া এখন ভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে অনেকেই আজ আপনার আত্মবিশ্বাস, মানসিক শান্তি ও উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অথচ একজন প্রকৃত বন্ধু জীবনের অন্যতম বড় আশীর্বাদ—যে শুধু পাশে থাকে না, আপনাকে আরও ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সহায়তা করে। কিন্তু সবাই তো আর সেই বন্ধুটিই নয়! অনেকেই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বন্ধুত্বের মুখোশ পরে কাছাকাছি আসে।
যেসব বন্ধুদের থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল, চলুন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই—
আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে যারা নেতিবাচক মন্তব্য করে, তারা কখনোই আপনার ভালো চায় না। তারা হয়তো গঠনমূলক সমালোচনার নামে আপনার পোশাক, সিদ্ধান্ত কিংবা সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করবে। এরা সবসময় আপনাকে ছোট করে দেখে এবং আপনার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিতে চেষ্টা করে। প্রকৃত বন্ধুরা এমন নয়—তারা সাহস জোগায়, সমর্থন করে।
বন্ধুত্ব মানে দুজনের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। কিন্তু যদি দেখেন আপনি সবসময় যোগাযোগ করছেন, খোঁজ নিচ্ছেন অথচ তারা উদাসীন, তাহলে সেই সম্পর্ক আপনাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এমন সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য থাকে না, আর প্রয়োজনের সময় এরা পাশে থাকেও না।
এরা আপনাকে সবসময় অপরাধবোধে ভোগাতে চেষ্টা করে। হয়তো ভুলভাবে আপনার কথা ব্যাখ্যা করবে, নানাভাবে দোষারোপ করবে বা আপনার আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের ফায়দা তুলবে। এরা সম্পর্ককে ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এদের থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার সাফল্যকে যারা হজম করতে পারে না, বরং ভেতরে ভেতরে প্রতিযোগিতা করে, তারা বন্ধুর ছদ্মবেশে শত্রু। আপনার অগ্রগতি দেখলেই তারা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, খোঁচা দেয় বা হাস্যকর মন্তব্য করে। মনে রাখবেন, সৎ বন্ধু সবসময় গর্বিত হয়, ঈর্ষান্বিত নয়।
বন্ধুত্বের মানে আত্মিক সংযোগ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর নির্ভরতার জায়গা। তাই সম্পর্কের শুরুতে একটু পর্যবেক্ষণ করুন—কে আপনাকে সত্যিই গুরুত্ব দিচ্ছে, আর কে শুধুই নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। এমন কিছু সম্পর্ক থেকে দূরে থাকলে জীবন আরও শান্তিপূর্ণ হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...