বিজ্ঞাপন
কোটালীপাড়া পৌরসভার ৬ নং ঘাঘরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তপতি বাড়ৈর বিরুদ্ধে
অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে স্থায়ী বদলির দাবিতে গত ৮ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সহকারি শিক্ষক তপতি বাড়ৈ ঘাঘরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে
শ্রেণিকক্ষে ঠিকমত পাঠদান করেন না। তিনি ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ে আসেন ও বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের
অযথা বকাঝকা করেন। তার ভয়ে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা চুপ করে থাকেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নমিতা মন্ডল বলেন, আমি গত বছর পদোন্নতি পেয়ে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক
হিসেবে যোগ দেই । সে সময় তপতি বাড়ৈ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমি আসার পর
তার কাছ থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করি। তিনি বিদ্যালয়ের আর্থিক বিষয়ে সঠিকভাবে হিসাব দিতে পারেন নি । তিনি
বিদ্যালয়ের কোন নিয়ম শৃঙ্খলা মানেন না। খেয়াল খুশি মত বিদ্যালয় থেকে বাসায় চলে যান। শ্রেণিকক্ষেও ঠিকমত ক্লাস
নেন না। তার বিষয়ে একাধিকবার শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ।
তিনি আরো জানান, তপতি বাড়ৈ ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি এ স্কুলে যোগদান করেন। এরপর অনেক শিক্ষকই তার
আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে এখান থেকে অন্যত্র চলে গেছেন।
শিক্ষার্থীর অভিভাবক শাহাদাত গাজী বলেন, তপতি বাড়ৈ শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। তিনি ক্লাসে গিয়ে লেখাপড়া না করিয়ে
বকাঝকা করে ছাত্র-ছাত্রীদের আতঙ্কের মধ্যে রাখেন। তার বিরুদ্ধে আমরা বহুবার প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের
কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। কোন কাজ হয়নি । তাকে সংশোধন হওয়ার কথা বললেও তিনি ভয়ভীতি দেখান।
তার অত্যাচারে এখানে কোন শিক্ষক এসে থাকতে চান না । ইতিপূর্বে এক কর্মকর্তাকে ফাঁসিয়ে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা
হাতিয়ে নেন। আমরা দ্রুত তপতি বাড়ৈর স্থায়ী বদলি চাই। শিক্ষা অফিস ব্যবস্থা না নিলে, আমরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন
কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, তপতি ম্যাডাম নিজেকে অনেক বড় স্যার হিসেবে মনে করেন। তাকে কিছু
বলতে গেলে উল্টো আমাদের কথা শুনিয়ে দেন। এমন ব্যক্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিভাবে চাকরি করে বুঝতে পারি না।
অভিযুক্ত তপতি বাড়ৈ সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, যা বলার তদন্ত কমিটির কাছে
বলব।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে তপতি বাড়ৈর বিরুদ্ধে তদন্ত
করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের চিঠি দিয়েছেন। দুইজন সহকারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা
নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...