বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসন কার্যালয়, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা ভবন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়সহ অধিকাংশ সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়নি।
এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলের মতে, রাষ্ট্রীয় শোক একটি জাতীয় দায়িত্ব, যা পালনে সরকারি দপ্তরগুলোর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঝালকাঠি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা বলেন, “আমাদের ঝালকাঠি অফিসটি একটি ভাড়া ভবনে অবস্থিত। একই ভবনে একাধিক অফিস রয়েছে। কিন্তু সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় আমরা পতাকা অর্ধনমিত রাখতে পারিনি।”
ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম মজুমদার বলেন, পতাকা উঠানো আমার কাজ না, এটা নাইটগার্ডের কাজ। পতাকা কেনো উঠানো হয়নি সেটা নাইটগার্ডের সাথে কথা বলবো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি যথাযথভাবে তদারকি করা হয়নি। তবে এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলেও তারা দাবি করেন।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন বলেন, “বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, “সকল সরকারি দপ্তরকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যারা এই নির্দেশনা পালন করেনি, তাদের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণানুযায়ী, দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...