বিজ্ঞাপন
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে নিখোঁজ হয় মারজান মিয়া (১৫)। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। নিখোঁজের দুই দিন পর ১ অক্টোবর তার বাবা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর, গত ১৪ ডিসেম্বর (রবিবার) দুপুরে সুরমা ইউনিয়নের রাউটিয়া বিল এলাকায় আব্দুল মালেকের আমন ধান কাটার সময় শ্রমিকরা একটি কঙ্কাল দেখতে পান। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন সেখের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কঙ্কালটি উদ্ধার করে।
কঙ্কাল উদ্ধারের সময় পাশে পড়ে থাকা একটি জলপাই রঙের গেঞ্জি ও নীল রঙের জার্সি প্যান্ট দেখে মারজানের পরিবার নিশ্চিত করে যে এটিই নিখোঁজ মারজানের দেহাবশেষ। এছাড়া ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পুলিশ একটি রক্তমাখা ভাঙা কাঁচির অর্ধেক অংশ উদ্ধার করে, যা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আলামত হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এই ঘটনায় গত ১৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা (মামলা নং-২২, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করা হয়।
মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা এবং সংগৃহীত আলামত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জনৈক এক শিশু জড়িত।
পরবর্তীতে তদন্তকারী দল অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিশুকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। পরবর্তীতে সে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডটি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধ দমনে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর এবং এই ঘটনার সাথে অন্য কারও সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...