বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিষদ চত্বরে অত্যন্ত নিম্নমানের ও নম্বরবিহীন ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির ১ম পর্যায় প্রকল্পের আওতায় এই গোডাউন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের জন্য ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৭৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নে কাবিটা ও কাবিখাসহ আরও ৬টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।
নির্মাণস্থলে কর্মরত এক রাজমিস্ত্রি জানান, "কর্তৃপক্ষ আমাদের যে ইট সরবরাহ করেছে, আমরা তা দিয়েই কাজ করছি। ইটের মান ভালো না মন্দ—সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারব না।"
প্রকল্পের সভাপতি ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নাসিমা ইয়াসমিন ইটের নিম্নমানের বিষয়টি পরোক্ষভাবে স্বীকার করে বলেন, "উদ্বোধনের দিন আমি উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু নারী মানুষ হওয়ায় ইটের মান ১ নম্বর নাকি ২ নম্বর তা ঠিক বুঝতে পারিনি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় বিষয়টি জানানো হয়নি, তবে দ্রুতই তাকে জানাব।"
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নয়ন ইসলাম বলেন, "আমি ইটের ছবি তুলে রেখেছি। দেখে ভালো মানের মনে হচ্ছে না। উন্নয়ন কাজ খারাপ হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব আপনাদের সাংবাদিকদেরও রয়েছে।"
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাইদুল ইসলাম শাহ প্রতিবেদকের তোলা ছবি দেখে স্বীকার করেন যে, সেখানে মিশ্র ও খারাপ মানের ইট রয়েছে। তিনি দ্রুত সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু জানান, "আসন্ন নির্বাচনের ব্যস্ততার কারণে এখনো সরেজমিনে যেতে পারিনি। তবে পিআইওকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। প্রমাণ মিললে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...