বিজ্ঞাপন
লিখিত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি মাতৃত্বকালীন ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, জানকিপুর মহব্বন গ্রামের ৯ জন অসহায় নারী প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা করে দিলে ভাতা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এভাবে মোট ৪৫ হাজার টাকা নেওয়া হলেও প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের কারও নাম ভাতা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করা হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। অভিযোগে আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরতসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ইউপি সদস্য পদ বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য ফরিদা পারভীনের বিরুদ্ধে এক বিধবা নারী ও তাঁর জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাতার টাকা উত্তোলন ও অর্ধেক নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নিয়মিতভাবে ভাতা উত্তোলন করে মোট টাকার অর্ধেক রেখে দেন এবং বাকি টাকা প্রায় এক সপ্তাহ পর ভুক্তভোগীদের হাতে পৌঁছে দেন, যার ফলে তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়েন।
ভুক্তভোগী মা ও মেয়ে অভিযোগে সুষ্ঠু তদন্ত এবং ভাতার সম্পূর্ণ টাকা সরাসরি তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য ফরিদা পারভীন অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন,
“আমি সব সময় নিয়ম মেনেই ভাতা উত্তোলন করি। ভুক্তভোগীদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয়, আমি কোনো টাকা নিজের কাছে রাখি না। অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বিভিন্ন ভাতা বিতরণে দীর্ঘদিন ধরেই অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। এতে প্রকৃত দরিদ্র ও অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে এবং জনপ্রতিনিধিদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
ঘটনাগুলো নিয়ে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...