বিজ্ঞাপন
গত ১১ ও ১২ জুলাই কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলের প্রিন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন রাখাইন আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫০ জন নারী ও পুরুষ।
এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়ান এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট, পরিবেশবান্ধব কৃষি, উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি, টেকসই প্রযুক্তি এবং তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিকাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের ফলের চারা, সবজির বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএআরআই পটুয়াখালীর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এইচ এম খায়রুল বাসার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিস (খামারবাড়ি, ঢাকা)-এর পরিচালক ড. মো. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিএআরআই মুন্সিগঞ্জের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও) ড. মো. খোরশেদ আলম এবং বিএআরআই টাঙ্গাইলের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এসএসও) কাকলী রায়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি সঞ্চালনা ও উপস্থাপনা করেন বিএআরআই পটুয়াখালীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম।
আয়োজকরা জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রতিহত করতে উপকূলীয় ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে টেকসই কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। সেই লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা, পটুয়াখালী।