বিজ্ঞাপন
চুক্তির পর থেকেই ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল ও সংগঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই মিশনের মূল লক্ষ্য হলো দেশের মানবাধিকার সুরক্ষা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং প্রতিষ্ঠানগত সক্ষমতা বৃদ্ধি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,
“জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করাই এই মিশনের উদ্দেশ্য। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক পদক্ষেপ হিসেবে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।”
সরকার আরও জানিয়েছে,
“জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কিছু আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশে একটি অংশ উদ্বেগ প্রকাশ করছে, কারণ বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে দৃঢ়। তবে এই মিশন কেবল গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ ও বিচার নিশ্চিত করাতেই মনোযোগী হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে জোর দিয়ে বলা হয়, এই মিশন বাংলাদেশের আইনি ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। জাতিসংঘ বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়েই কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া সরকার জানিয়েছে,
“জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে যেকোনো সময় সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাংলাদেশ এই চুক্তি থেকে সরে আসতে পারবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যদি পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এমন একটি মিশন থাকত, তবে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গণহত্যার মতো ঘটনা আরও কার্যকরভাবে তদন্ত ও নথিভুক্ত করা যেত।
শেষে বলা হয়,
“মানবাধিকারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আইন, ন্যায়বিচার ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সক্ষমতা বৃদ্ধিই এই অংশীদারিত্বের মূল লক্ষ্য।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...