বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বিশ্ব মানব পাচার বিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশে অভিবাসন বিষয়ক জাতিসংঘ নেটওয়ার্ক (বিডিইউএনএনএম) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অতিরিক্ত সচিব মাহাবুবুর রহমান বলেন, “মানব পাচার একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক অপরাধ। এর সঙ্গে জড়িত চক্রগুলোকে চিহ্নিত করে ভেঙে দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এই অপরাধ প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি জানান, মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আইনি কাঠামো তৈরি করেছে। ২০১৭ সালে প্রণীত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধিমালা এবং ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানব পাচার প্রতিরোধ প্রটোকলে বাংলাদেশের অনুসমর্থন এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করেছে।
সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ আইনকে আরও কার্যকর করার জন্য কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ‘জাতীয় মানব পাচার প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ’ গঠনের পাশাপাশি ‘মানব পাচার প্রতিরোধ তহবিল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন, ২০২৬–৩০ মেয়াদের জন্য চতুর্থ জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বিভাগীয় পর্যায়ে সাতটি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, যা বিচার প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, পাচার থেকে ফিরে আসা ভুক্তভোগীদের সেবা, সহযোগিতা ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাজ চলছে। তদন্ত, বিচার ও সাক্ষী সুরক্ষার দিকগুলোতেও গুরুত্ব দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ইমিগ্রেশন, স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মো. আসাদ উল্লাহ চৌধুরী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ড. আবুল হাসনাত, কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সুজিন কং, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ডেলিগেশন টু বাংলাদেশের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার এবং জাতিসংঘ অভিবাসন সংস্থার বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...