Logo Logo

গীবত থেকে বাঁচার ৫টি উপায়

মুখের একটি শব্দে হতে পারে গীবতের গুনাহ!


Splash Image

প্রতীকী ছবি, সংগৃহীত।

গীবতের ভয়াবহতা নিয়ে আলোকপাত — গীবতের ধরন, মাধ্যম ও ইসলামে এর বিধান। হাদিস ও প্রমাণসহ বিস্তারিত জানুন।


বিজ্ঞাপন


গীবত বা পরনিন্দা একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। হাদিসে গীবতকে এমন এক কাজ বলা হয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু বলে যা সে অপছন্দ করে। এমনকি কথাগুলো সত্য হলেও তা গীবত হিসেবে গণ্য হয়, আর যদি মিথ্যা হয় তবে তা অপবাদ হিসেবে ধরা হয়।

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,

“তুমি যদি তোমার ভাইয়ের এমন দোষ উল্লেখ কর যা তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবে সেটিই গীবত। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তাকে অপবাদ দিলে।” (তিরমিজি: ১৯৩৪)

গীবতের ৭টি পরিভাষা

১. গীবত — পরনিন্দা করা

২. إفك — মিথ্যা রটনা করা

৩. بهتان — অপবাদ

৪. نميمة — চোগলখোরি করা

৫. همزة — সরাসরি সমালোচনা

৬. لمزة — অগোচরে দোষ চর্চা

৭. شتم — মিথ্যা বলে ব্যঙ্গ

গীবতের মাধ্যম ৪টি

১. জিহ্বা দ্বারা গীবত (বুখারী ৬৪৭৭)

২. অন্তর দিয়ে গীবত

৩. ইশারার মাধ্যমে গীবত (মুসনাদে আহমাদ ২৫৭০৮)

৪. লেখার মাধ্যমে গীবত

গীবতের ধরন ৫টি

শারীরিক গঠন নিয়ে, চারিত্রিক দোষ নিয়ে, বংশ নিয়ে, পোশাক পরিচ্ছেদ নিয়ে, পরোক্ষভাবে

গীবতের হুকুম

হারাম, ওয়াজিব, মুবাহ

আল্লাহ আমাদের সকলকে গীবত থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

প্রতিবেদক- মোঃ রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক

তাহফিজুল কুরআন মডেল মাদ্রাসা, নড়াইল।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...