বিজ্ঞাপন
বরং গাজার জনগণের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতেই তারা এখন বেশি মনোযোগী।
এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন গাজার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তায় কাজ করছি। আর গাজা দখল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নিজেই নেবে।”
ট্রাম্প আরও জানান, গাজায় খাদ্য সরবরাহ ও অর্থ সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করবে। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, কিছু আরব দেশও এই ত্রাণ উদ্যোগে অর্থ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় অংশ নেবে।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, গাজার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করবে। সে সময় হোয়াইট হাউজ জানায়, গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে নতুন একটি পরিকল্পনা খুব শিগগিরই কার্যকর করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হয়নি।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এ ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অর্থ প্রদান করেছে। যদিও বিষয়টি দেশটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি। কারণ, এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর সমর্থকদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যদিকে গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য জোর করে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ইসরায়েল—এমন খবরও প্রকাশ পেয়েছে। এতে করে গাজা অঞ্চলটি ছোট ছোট ভূখণ্ডে বিভক্ত হয়ে গেছে এবং এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ভয়াবহভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বর্তমানে গাজার প্রায় ৮৬ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি সামরিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাকি অংশেও সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। এমন অবস্থায় বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এ অঞ্চলের সংঘাতের ধরন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...