বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন শায়খ হাবিবুল্লাহ নাদিম হাফিজাহুল্লাহ। তার মতে, তাগুত বা আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয় এবং যারা শরিয়াহর বাইরে শাসন ও বিচারকার্য পরিচালনা করে, তাদের সহযোগিতা ইসলাম সমর্থন করে না।
শায়খ হাবিবুল্লাহ নাদিম হাফিজাহুল্লাহ বলেন,
ইসলাম ও জাহিলিয়াতের মধ্যে শতভাগ বৈপরীত্য রয়েছে। তাই জাহিলিয়াতমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়া বা সহযোগিতা করা একজন মুসলমানের জন্য অনুমোদিত নয়। যেমন—সুদ, মদ, ব্যভিচারসহ সব জাহিলি কর্মকাণ্ড থেকে ইসলাম দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
কুরআনের আয়াত ও বিভিন্ন হাদিসের আলোকে তিনি তুলে ধরেন, তাগুত শাসনব্যবস্থার অধীনে সরকারি চাকরি করা এক ধরনের সহযোগিতা। এসব চাকরির মাধ্যমেই অন্যায় শাসন টিকে থাকে। তবে সরকারি চাকরির ধরন ভিন্ন হওয়ায় এর বিধানও ভিন্ন।
শায়খ হাবিবুল্লাহ নাদিম
সরকারি চাকরিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন—সত্তাগতভাবে হারাম চাকরি এবং সত্তাগতভাবে হারাম নয় এমন চাকরি। আদালত, সুদী ব্যাংক বা ইসলামের বিজয় ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে গঠিত বাহিনীতে চাকরি করা সম্পূর্ণ হারাম। অন্যদিকে শিক্ষা, চিকিৎসা বা ডাক বিভাগে চাকরি সরাসরি হারাম নয়। তবে এগুলোও তাগুত শাসনব্যবস্থাকে সহযোগিতা করে, তাই এগুলো গ্রহণে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তার মতে, কোনো মুসলমানের জন্য অগ্রাধিকার হওয়া উচিত আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা করা এবং জালিম শাসনব্যবস্থা সমর্থন না করা। তবে কেউ যদি জীবিকার অন্য কোনো উপায় না পেয়ে অপারগ হয়ে সরকারি চাকরি নেয়, সেই পরিস্থিতির ফিকহি আলোচনা ভিন্ন এবং আলাদা ব্যাখ্যা প্রয়োজন।
তিনি কুরআনের আয়াত উল্লেখ করে বলেন,
“তোমরা জালিমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাদের স্পর্শ করবে।” (সুরা হুদ: ১১৩)। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চান, জালিম বা তাগুত শাসনব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ততাও মুসলমানদের জন্য বিপজ্জনক।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...