বিজ্ঞাপন
উচ্চশিক্ষার জন্য কাফের রাষ্ট্রে গমন এবং তাগুতের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা চালানোর বিধান নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্নোত্তর আকারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি (উফিয়া আনহু)।
প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়
ক. কাফেরদের সাইবার স্পেস ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কম্পিউটার সাইন্স বা সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য কাফের রাষ্ট্রে যাওয়া বৈধ কি না? খ. তাগুতের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালানো যাবে কি না?
উত্তরে আলেম বলেন,
সাইবার সিকিউরিটি বা কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা যদি জিহাদি উদ্দেশ্যে হয়, তবে তা মহৎ কাজ। তবে কাফের রাষ্ট্রে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা ঈমানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ অবস্থায় এটি কারো জন্য অনুমোদিত নয়। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে বিজ্ঞ আলেমদের শর্তসাপেক্ষ ফতোয়ার মাধ্যমে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। তাই ব্যক্তিগতভাবে এমন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ নেই।
সাইবার সিকিউরিটি বা কম্পিউটার সাইন্সে পড়াশোনা যদি জিহাদি উদ্দেশ্যে হয়, তবে তা মহৎ কাজ। তবে কাফের রাষ্ট্রে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা ঈমানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণ অবস্থায় এটি কারো জন্য অনুমোদিত নয়। বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে বিজ্ঞ আলেমদের শর্তসাপেক্ষ ফতোয়ার মাধ্যমে এর ব্যতিক্রম হতে পারে। তাই ব্যক্তিগতভাবে এমন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, জিহাদের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো পদক্ষেপ নিতে হলে অবশ্যই অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ তারা বাস্তব পরিস্থিতি এবং জিহাদের শরঈ বিধান ভালোভাবে জানেন।
তাগুতের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিথ্যা অপবাদ দেয়া ইসলাম অনুমোদন করে না। তবে জিহাদের বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে এর ব্যতিক্রম থাকতে পারে, সেটিও আলেমদের নির্দেশনায়। সাধারণ অবস্থায় মিথ্যার আশ্রয় নেয়া নিষিদ্ধ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমান তাগুত শাসকদের অপরাধ এত ভয়াবহ যে, তাদের বাস্তব চেহারা তুলে ধরলেই যথেষ্ট। সত্য তথ্য প্রচার করলেই মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন হবে, মিথ্যার প্রয়োজন নেই।
এ প্রসঙ্গে তিনি সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদিস ও ফিকহি গ্রন্থ থেকে দলিল তুলে ধরেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...