বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যুগ যুগ ধরে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করে।”
ধর্ম উপদেষ্টা ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্য অটুট রাখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিন্ন মতাদর্শ থাকলেও ইসলামিক দলগুলোকে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে একত্রিত হতে হবে। জনগণের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা, নৈতিক সমাজ গঠন এবং দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।”
তিনি দ্বীনের স্বার্থে সমাজকে সীরাতে রাসূল (সাঃ)-এর আলোকে সাজানোর আহ্বান জানান।
মাহফিলে তিনি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদকে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, “মুসুল্লিদের দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ এবং মসজিদের আদি ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।”
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চট্টগ্রামের সভাপতি ও বায়তুশ শরফ কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা সাইয়েদ মোহাম্মদ আবু নোমান। সঞ্চালনায় ছিলেন মাওলানা মোহছেন আল হুসাইনী ও মাওলানা ইরফানুল হক।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওলাদে রাসূল (সাঃ), ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর (সদস্য) ও আন্দরকিল্লা জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল মাদানী। প্রধান আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা ক্বারী আব্দুল্লাহ আল-আমিন।
অনুষ্ঠানে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মাহফিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রধান অতিথি আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল মাদানী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...