Logo Logo

উচ্চ ফলনশীল আমনে স্বপ্ন বুনছেন উপকূলের কৃষকরা


Splash Image

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উচ্চফলনশীল আমন ধানের আবাদে স্বপ্ন বুনছেন উপকূলীয় কৃষকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি প্রস্তুত, চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।


বিজ্ঞাপন


কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হবে। এরই মধ্যে ৯৫ শতাংশ রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই শতভাগ রোপণ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ, কোথাও আগাছা পরিষ্কার, আবার কোথাও দলবদ্ধভাবে চারা উত্তোলনের কাজ চলছে। দেশি জাতের ধানের তুলনায় কৃষকরা এখন বেশি ঝুঁকছেন ব্রি-১১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১, ব্রি-৫২ ধানসহ দেশি গুটি স্বর্ণা, সাদা মোটা, জিরা বাদাম এবং বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের প্রতি। কৃষকদের দাবি, এসব জাতের ধানে খরচ কম এবং উৎপাদনও তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।

এছাড়া এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকদের সেচ নিয়ে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ফলে উৎপাদন ব্যয় কমে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রেকর্ড পরিমাণ ফলনের প্রত্যাশা করছেন চাষিরা।

স্থানীয় কৃষক মো. খলিল মুন্সি জানান, “এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। কোনো বীজতলা নষ্ট হয়নি এবং জমিও সময়মতো প্রস্তুত করতে পেরেছি।”

আরেক কৃষক মো. মনির বলেন, “আমাদের এলাকায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো নয়। অতিবৃষ্টিতে রোপা আমনের ক্ষতি হয়, সঠিক সময়ে পানি সরাতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এজন্য নতুন স্লুইসগেট স্থাপন জরুরি।”

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসাইন ভোরের বাণীকে বলেন, “প্রতিদিন কৃষকদের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপণ হবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...