সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভ, ছবি- সংগৃহীত,
বিজ্ঞাপন
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের কামারচর উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কবির হোসাইনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় শনিবার (৩০ আগস্ট) বাদ আসর মসজিদের সামনে খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত মো. নাদিরুজ্জামান নাদু মিয়ার ছেলে মো. আক্তার হোসেনকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করা হয়। পরে তাকে ইমামের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।
ঘটনার সময় আক্তারের বাবা নাদিরুজ্জামান নাদু মিয়াও ইমামের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বৈঠকে জানানো হয়, ইমামের পরবর্তী নিরাপত্তার দায়িত্ব মসজিদ কমিটি গ্রহণ করেছে।
সালিশে উপস্থিত বক্তারা জানান, কয়েক দিন আগে মক্তবে এক ছাত্রকে শাসনের সময় ইমাম বেত্রাঘাত করলে তা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এর জেরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে অভিযুক্ত যুবক ইমামের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে প্রকাশ্যে চড় মারে। মুহূর্তেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকাবাসীও লজ্জিত হন।
স্থানীয় আলেম-ওলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি জানার পর দ্রুত সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। সেখানে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মধ্য দিয়ে ঘটনাটির অবসান ঘটে। সালিশ বৈঠকে বক্তব্য দেন মো. নাসির উদ্দিন নয়ন, ডা. মাহবুব আলম, মো. কামাল উদ্দিন, মো. খলিলুর রহমান মেম্বার, মো. সাদেকুর রহমান সরকার, মো. বাছির উদ্দিন মেম্বার ও মো. কবির হোসেন মেম্বারসহ অনেকে।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুফতি উসমান গনি, মাওলানা ফরহাদ হোসাইন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা নাজমুল হাসান রব্বানী, মাওলানা বায়জিদ আহমদ, মাওলানা শামিম আহমদ, মাওলানা আব্দুল হান্নান, হাফেজ মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা আক্তার হোসেন, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা সাইদ আহমদসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...