Logo Logo

ভোট গণনা বাকি ৪ কেন্দ্রের, চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে সন্ধ্যায়


Splash Image

ছবি : সংগৃহিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে এখনও চারটি হলের ভোট গণনা শেষ হয়নি। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মোট ২১টি হলের মধ্যে ১৭টি হলের ভোট গণনা সম্পন্ন করেছে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ৫ হলের ভিপি, জিএস পদে জয়দের অনানুষ্ঠানিক ভাবে নাম প্রকাশ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


নির্বাচন কমিশন সদস্য সচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘দুটি টেবিলে একযোগে ভোট গণনার কাজ চলছে। এখনও চারটি হলের গণনা বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ হলে শুরু হবে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা। রাত ৮ থেকে ১০ টার মধ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়। প্রতিটি ভোট গণনার ফল এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হচ্ছে। এর আগে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়, যা চলে বিকেল পর্যন্ত।

৫ হলের ভিপি, জিএস পদে অনানুষ্ঠানিক ভাবে জয় পেয়েছেন যেসকল প্রার্থীরা-

নির্বাচনে মীর মশাররফ হোসেন হলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়ের শাবাব। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, তিনি ১৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। জুবায়ের শাবাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী। এ ছাড় জিএস পদে জয় পেয়েছেন শাহরিয়া নাজিম রিয়াদ।তার প্রাপ্ত ভোট ১৯২। এজিএস পদে জয় পেয়েছেন আরাফাত, তিনি পেয়েছেন ১৭৯ ভোট।

শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৯ তম আবর্তনের রসায়নের মারুফ, জিএস পদে মো. মাসুদ রানা মিষ্টু। ১০ নং ছাত্র হল (সাবেক মুজিব হল) ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ মিয়া, জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন মেহেদি হাসান, এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. রাকিবুল ইসলাম, জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমদ এবং এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন লাবিব। এ ছাড়া আফম কামালউদ্দিন হল সংসদ ভিপি পদে জয় পেয়েছেন দর্শন বিভাগে জিএম রায়হান কবীর।

এবারের জাকসু নির্বাচনে ১১ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।

নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একটি বিভাজিত অংশ এবং কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও ভোটগ্রহণ বর্জনের ঘোষণা দেয়।

এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

ছাত্রদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...