ভোরে ওঠা থেকে ডিটক্স—জীবন বদলে দেবে এই অভ্যাসগুলো
বিজ্ঞাপন
সুস্থ ও দীর্ঘায়ু জীবন যাপন করতে হলে নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশাপাশি প্রাচীন প্রমাণিত অভ্যাসগুলো মানলে ওষুধ ছাড়াই জীবন হতে পারে পরিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তাদের আগে সুস্থতার পথে ফিরতে হবে, এরপর এই নিয়মগুলো মেনে চললে দীর্ঘমেয়াদে তা স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর হবে।
প্রথমত, প্রত্যুষ জাগরণ। ভোরের স্নিগ্ধ বাতাস শরীর ও মনের জন্য অসাধারণ উপকারী। প্রবাদে যেমন বলা হয়—“Early to bed and early to rise makes a man healthy, wealthy and wise।” তাই সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
দ্বিতীয়ত, নিয়মিত ব্যায়াম। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘায়ু দেশের মধ্যে জাপান শীর্ষে এবং তাদের অন্যতম গোপন রহস্য হলো নিয়মিত শরীরচর্চা। প্রতিদিন অল্প সময় ব্যায়ামও শরীর ও মন উভয়কে সক্রিয় রাখে।
তৃতীয়ত, প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাস। বিশুদ্ধ পানি পান করা ও প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ সুস্থতার মূল চাবিকাঠি। সম্ভব হলে দুই বেলা খাবারের অভ্যাস করুন। একান্তই তিনবেলা খেলে একবেলা ভারী এবং অন্য দুই বেলা হালকা খাবার গ্রহণ করুন। পাশাপাশি সয়াবিন তেল, সাদা ভাত, সাদা রুটি ও রিফাইন লবণ থেকে দূরে থাকুন। মনে রাখবেন, কী খাবেন না—এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
চতুর্থত, সঠিক সময়ে ঘুম। রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া এবং প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম শরীরের মেটাবলিজম, ব্রেইনের রিচার্জ, এবং হরমোনের স্বাভাবিক উৎপাদন নিশ্চিত করে। অপর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে ভেতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
পঞ্চমত, বডি ডিটক্স। দুইবার নোবেল বিজয়ী ড. লাইনাস পাউলিং বলেছেন, দেহের অধিকাংশ রোগের মূল কারণ হলো টক্সিসিটি। তাই দেহকে মাঝে মাঝে বিশুদ্ধ করতে হবে। অটোফেজি বা ফাস্টিং, হিজামা (কাপিং), বমন, বিরেচন ইত্যাদি প্রাকৃতিক পদ্ধতি বডি ডিটক্সে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
সবশেষে বলা যায়, সুস্থতার এই পাঁচটি সূত্র মেনে চললে দীর্ঘায়ু ও ওষুধমুক্ত জীবনযাপন সম্ভব।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...