Logo Logo

ফের বিএনপিতে যোগ দিলেন ওহিদুজ্জামান


Splash Image

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামান নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও এবার তাকে দেখা গেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সঙ্গে এক মঞ্চে।


বিজ্ঞাপন


গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সালথা বাজার বাইপাস চৌরাস্তার মোড়ে উপজেলা ওলামা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ। সেখানে বক্তব্য দেন ওয়াহিদুজ্জামানও। তিনি বলেন, “ওই সময়ে আলেম-ওলামারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, অনেকে কারারুদ্ধ হন। তখন বিএনপির নেত্রী শামা ওবায়েদ নির্যাতিত প্রত্যেক ওলামার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সাহায্য করেছিলেন।” তিনি আরও আহ্বান জানান, আগামী নির্বাচনে শামা ওবায়েদকে বাংলাদেশের সব আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে জেতানোর জন্য সবাইকে কাজ করার।

ওয়াহিদুজ্জামান ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের আব্দুল হাই মাস্টারের ছেলে। ২০১১ সালে তিনি ভাওয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থনে সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন।

২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট তিনি সালথায় এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। অনুষ্ঠানটির ব্যানারে লেখা ছিল—‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আওয়ামী লীগে যোগদান উপলক্ষে জনসভা’।

২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। ওই সম্মেলনে নিজেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক পোস্টারিং করেছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান। যদিও পরবর্তীতে সম্মেলন স্থগিত হয়।

ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কখনো সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগার হতে পারিনি। ২০১১ সালে ভাওয়াল ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, তখনও দলে আমার অবস্থান ছিল কাগজে-কলমে।”

তিনি আরও জানান, “আমি বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের মাধ্যমে অতীতে অনেক উপকৃত হয়েছি। ২০০৯ সালে একটি হত্যা মামলায় কারারুদ্ধ হয়েছিলাম। তখন শামা ওবায়েদ আমাকে সাহায্য করেছিলেন। আবার ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শামা ওবায়েদের সমর্থনের কারণেই আমি জয় পেয়েছি।”

নিজের বর্তমান অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “এখন আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি করি না, নেতাও হতে চাই না। আমি শামা আপার সঙ্গে আছি।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...