Logo Logo

সোনালি গম্বুজের গল্প

জেরুজালেম থেকে দামেস্ক: উমাইয়া খেলাফতের স্থাপনায় শিল্প-ঐতিহ্যের ছাপ


Splash Image

উমাইয়া যুগের নান্দনিক শিল্পকর্ম: কুব্বাতুস সাখরা ও উমাইয়া মসজিদ

উমাইয়া খেলাফত ইসলামি স্থাপত্যকলায় রেখেছে অনন্য ঐতিহ্য। জেরুজালেমের কুব্বাতুস সাখরা ও দামেস্কের উমাইয়া মসজিদ আজও সেই শিল্প-ঐতিহ্যের অমলিন নিদর্শন হিসেবে দণ্ডায়মান।


বিজ্ঞাপন


উমাইয়া খেলাফত (৬৬১–৭৫০ খ্রি.) মুসলিম স্থাপত্যকলার ইতিহাসে এক স্বর্ণালী অধ্যায়
তাদের শাসনামলে নির্মিত স্থাপনাগুলো শুধু ধর্মীয় দিক থেকেই নয়, শিল্প-নান্দনিকতা ও স্থাপত্যশৈলীতেও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়। ইসলামি স্থাপত্যের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ নিদর্শনের মধ্যে রয়েছে জেরুজালেমের কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক) এবং দামেস্কের উমাইয়া মসজিদ।

৬৯১–৬৯২ খ্রিস্টাব্দে খলিফা আব্দুল মালিক জেরুজালেমে নির্মাণ করেন কুব্বাতুস সাখরা। আল-হারাম আশ-শরিফ কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে অবস্থিত এ স্থাপনাটি ইসলামের ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

ইসলামী ঐতিহ্যে বলা হয়, এখান থেকেই ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের সফরে গিয়েছিলেন।
সোনালি গম্বুজ, দৃষ্টিনন্দন খিলান, শিল্পসম্মত স্তম্ভ, বহুরঙা মার্বেল ও সূক্ষ্ম মোজাইক শিল্পকর্ম কুব্বাতুস সাখরাকে দিয়েছে এক অনন্য সৌন্দর্য ও মহিমা।
তবে অনেকে ভুল করে পুরো আল-হারাম আশ-শরিফ কমপ্লেক্সকেই আল-আকসা মসজিদ মনে করেন। বাস্তবে এই কমপ্লেক্সের ভেতরে আল-আকসা মসজিদ এবং কুব্বাতুস সাখরা— দুটি স্বতন্ত্র স্থাপনা।

অন্যদিকে, দামেস্কে ইসলাম বিস্তারের পর খলিফা আল-ওয়ালিদ খ্রিস্টানদের জন দ্য ব্যাপ্টিস্টের প্রাচীন উপাসনালয় ক্রয় করে সেটিকে রূপান্তর করেন উমাইয়া মসজিদে। এই মসজিদে রয়েছে প্রশস্ত আঙিনা, লম্বা বারান্দা, তিনটি সমান্তরাল আইল এবং কেন্দ্রীয় নেভের ওপর এক বিশাল গম্বুজ। বাইরের দেয়ালে ফুটে ওঠা ফুল-লতা ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের নকশা কুব্বাতুস সাখরার স্থাপত্য নান্দনিকতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

আজও জেরুজালেমের কুব্বাতুস সাখরা ও দামেস্কের উমাইয়া মসজিদ ইসলামি স্থাপত্যের গৌরবময় ঐতিহ্যকে বহন করে আসছে। ইতিহাস, ধর্ম ও শিল্পকলার মেলবন্ধনে তৈরি এসব স্থাপনা উমাইয়া খেলাফতের স্থাপত্য দক্ষতা ও নান্দনিকতার অমর সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...