বিজ্ঞাপন
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতির নীতিতে বিশ্বাসী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার নীতিতে নয়। কোন অসাম্প্রদায়িকতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের নীতি অনুযায়ী সমর্থনযোগ্য নয়। আমরা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে কাজ করি এবং বিশ্বের সকল ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে মুসলমানরা হস্তক্ষেপ করবে না। হস্তক্ষেপ করলে তা হবে কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত দিনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের সহযোগীরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, নির্যাতন, রাতের আঁধারে পূজা মন্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অত্যাচার চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীকে দোষারোপ করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। আমরা সবসময়ই সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকল ধর্মের স্বাধীনতার প্রতি বিশ্বাসী। আমরা কখনো কোন ধর্মের ক্ষতি করিনি এবং তাদের নিরাপত্তা ও সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।”
সভায় তিনি পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে বলেন, “আপনারা বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে ধর্মীয় স্বাধীনতা সহ সকল সুযোগ সুবিধা এবং সার্বিক নিরাপত্তা আরও নিশ্চিতভাবে ভোগ করবেন। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মন্দির বা প্রতিমা ভাঙচুর এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না। আমরা সবসময় চোখ-কান খোলা রাখব এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।”
সভায় পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক সঞ্চালনা করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক শেখ, পৌর আমীর মাওলানা ইছাহাক আলী খান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দোলা গুহ, জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক দিলীপ মিস্ত্রি, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবুল হালদার, জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অরবিন্দ রায়সহ জামায়াতে ইসলামী ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...