গবেষণায় প্রমাণিত: ঘুম ও পানি মাইগ্রেন কমায়
বিজ্ঞাপন
মাইগ্রেন একটি জটিল স্নায়বিক ব্যাধি, যা তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, আলো ও শব্দে অস্বস্তির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। সাধারণত এটি ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। নারীদের মধ্যে এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত তাপমাত্রা, পানিশূন্যতা, তীব্র আলো, অনিয়মিত খাবার ও ঘুমের অভাব মাইগ্রেনের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে কিছু সহজ সতর্কতা মেনে চললে গরমে মাইগ্রেন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
প্রতিদিন অন্তত আড়াই থেকে ৩ লিটার পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। বাইরে বের হলে অবশ্যই পানির বোতল সঙ্গে রাখা উচিত। খাবারে কফি, রেড ওয়াইন, চকলেট ও পনির এড়িয়ে চলা ভালো; এর বদলে তরমুজ, শসা, আমসহ গ্রীষ্মকালীন ফল ও শাকসবজি খাওয়া উপকারী।
তীব্র রোদে বাইরে যেতে হলে হালকা রঙের টুপি বা ক্যাপ ব্যবহার করতে হবে। একইসঙ্গে তীব্র গন্ধযুক্ত পারফিউম বা প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। ঘরে এসি থাকলে তাপমাত্রা ২৫–২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা সবচেয়ে উপযোগী।
নিয়মিত রুটিন মেনে চলা—যেমন সময়মতো ঘুম ও খাবার খাওয়া—মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে। গরমকালে প্রচণ্ড কসরতের পরিবর্তে ঘরে হালকা ব্যায়াম করা ভালো। মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা রিল্যাক্সেশনের অভ্যাস করলেও উপকার মেলে।
বিভিন্ন গবেষণায় মাইগ্রেন প্রতিরোধের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়েছে। আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন জানায়, প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে ১ জন মাইগ্রেনে ভোগেন, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার ১৫ জনে ১ জন। ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মাইগ্রেনের ঝুঁকি ৭৫% পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পানি পান করলে মাইগ্রেনের আক্রমণ প্রায় ২১% পর্যন্ত কমে আসে। এছাড়া নিয়মিত ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম মাইগ্রেনের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।
গ্রীষ্মে সামান্য সচেতনতা ও সঠিক অভ্যাসই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...