ছবি- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ইসলামে মানুষে মানুষে সম্পর্ক দৃঢ় করার অন্যতম উপায় হলো সালাম দেওয়া। সাক্ষাৎ বা বিদায়ের সময় পরস্পরকে “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ” বলা নবী করিম (ﷺ)-এর সুন্নত এবং এতে রয়েছে অসংখ্য বরকত ও সওয়াব।
সম্প্রতি অনেকের মধ্যে প্রচলিত হয়ে গেছে “খোদা হাফেজ” বা “আল্লাহ হাফেজ” বলে বিদায় জানানো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি জাওয়াদ তাহের, মুহাদ্দিস, জামিয়া বাবুস সালাম, বিমানবন্দর, ঢাকা জানান— ইসলামী শরিয়তে বিদায়ের সময় সালাম দেওয়াই সুন্নত। “খোদা হাফেজ” বা “আল্লাহ হাফেজ” বলা বৈধ হলেও এতে সালামের সুন্নত পরিত্যাগ হয়। মুসলমানদের উচিত সাক্ষাৎ ও বিদায়ের সময় নবীর শিক্ষা অনুযায়ী সালাম দেওয়া।
তিনি বলেন, “যেমন উপস্থিতির সময় আমরা ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলি, তেমনি বিদায়ের সময়ও ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ’ বলা সুন্নত।”
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
“তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না ঈমান আনবে, আর তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না একে অপরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের তা বলব না যা করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তা হলো, তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার ঘটাও।”
— সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ১০০ (আন্তর্জাতিক নং ৫৪-১)
এই হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, সালামের মাধ্যমে শুধু সৌজন্যই নয়, বরং পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা, শান্তি ও ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই ইসলামী দৃষ্টিতে “খোদা হাফেজ” বা “আল্লাহ হাফেজ” বলা নিষিদ্ধ নয়, তবে তা সুন্নতের বিকল্প নয়। মুসলমানদের উচিত এই সুন্দর ও বরকতময় সালাম সংস্কৃতি পুনরুজ্জীবিত করা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...