বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশি দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্লার সঙ্গে হেমায়েত হোসেনের বিরোধ শুরু হয়। স্থানীয় এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ বিরোধ চলছিল। যদিও বর্তমানে উভয় পক্ষই বিএনপির সমর্থক, তবে কেউ দলীয় কোনো পদে নেই।
বিরোধের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লুৎফর ও ইমরানের পক্ষের নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় বাহিরদিয়া পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের চাবি চাইতে যান হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। চাবি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে তখন দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এর পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে পুলিশ, স্থানীয় মাদরাসার আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
তবে শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইমরান মোল্লার বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩৬ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ২১ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...