বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও এতে সহায়তা করছেন। নৌবাহিনীর আরও চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আগুন লাগা ভবনের পাশের একটি টিনশেড কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, সাততলা ভবনের ৫, ৬ ও ৭ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জাহাংগীর বলেন, “আগুন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ভবনের ভেতরে কেউ আটকা পড়েনি বলে এখন পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী মুজিবুল হক বলেন, “রিজার্ভ ট্যাংক থেকে পানি এনে ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর সদস্যরা পানি ছিটাচ্ছেন, কিন্তু আগুন এতটাই তীব্র যে নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। আশপাশের ভবনগুলোতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
জানা গেছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া কারখানাটিতে হাসপাতালে ব্যবহারের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি হতো। তবে কারখানার ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকা পড়েনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাত পর্যন্ত আগুন নেভানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...