 
                            বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে মান্না বলেন, "আমি বাস্তবতায় মনে করি, দেশ এক বিরাট সংকটের মধ্যে পড়েছে। এখন নির্ভর করবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভাইয়েরা কী করেন? এই সংকট থেকে যদি মনে করেন, এই সরকার জাতিকে উদ্ধার করবে… এই সরকারের সেই ক্ষমতাই নাই।"
সম্প্রতি 'জুলাই জাতীয় সনদ' বাস্তবায়নে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশমালা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে মান্না কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেন। সুপারিশমালায় ভিন্নমত বা 'নোট অব ডিসেন্ট' উল্লেখ না করা এবং দীর্ঘ আলোচনায় না আসা বিভিন্ন প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে তিনি 'বোকামি, নির্বুদ্ধিতা ও মূর্খতা' বলে আখ্যায়িত করেন।
মান্না বলেন, "যদি বুঝতেন তাহলে এটা বদলাবার আগে বিএনপির সাথে কথা বলতেন... কারো সাথে তো কথা বলেন নাই। নিজের নিজের মতো করতে গেছেন…এটা এখন হজম করতে পারবেন? ...সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রধানত বিএনপির।" তিনি আরও বলেন, "সরকার যে ‘থু থু ফেলেছে, সেই থু থু চাটবে’ আবার…আমি জানি না। কিন্তু তাদের তো ‘চাটতে’ হবে।"
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের কাছে দেওয়া কমিশনের ওই সুপারিশমালা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আনুষ্ঠানিকভাবে 'অগ্রহণযোগ্য' বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুপারিশে গণভোটের কথা বলা হলেও তা কখন হবে, তা নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে তীব্র মতবিরোধ রয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন প্রসঙ্গে মান্না বলেন, "জামায়াত তো আবার আন্দোলন আন্দোলনে খেলে। কর্মসূচির নামে সভা করে, বড় কর্মসূচি দেয় না। তারা জানে যে, এই কর্মসূচি মানুষ খাবে না।"
সভায় জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবও সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, "আমরা সব দলগুলো এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে কী হল? প্রতিদিন আমরা প্রতারিত হচ্ছি।" তিনি জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পরের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন এবং এনসিপিকে 'মাথা ঠাণ্ডা' রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর প্রমুখ। অসুস্থতার কারণে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি, তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...