সংগৃহীত ছবি
বিজ্ঞাপন
ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের ব্যবসায়িক কেন্দ্র, নির্মাণাধীন প্রকল্প এবং বিস্তীর্ণ সবজি খামার—এই চারটি জোনে একযোগে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় অধিকাংশ অভিবাসী কর্মী সবজি প্যাকিং ও কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আকস্মিক উপস্থিতিতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়া সত্ত্বেও তারা পালিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। অভিযানে মোট ১ হাজার ৮৮৬ জনের নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন অপরাধে ৪৬৮ জনকে আটক করা হয়।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, গত এক মাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর পর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই পাহাড়ি অঞ্চলে বিদেশি অভিবাসীদের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এই অভিযান অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতিরই অংশ।"
আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের নাগরিক সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি, মোট ১৭৫ জন। এর পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান, মোট ১৭৪ জন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার ৬৭ জন, নেপালের ২০ জন, পাকিস্তানের ১৬ জন এবং ভারতের ১১ জন নাগরিক রয়েছেন। ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, চীন ও কম্বোডিয়ার একজন করে নাগরিককেও আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বয়স ২০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ৩৮৮ জন পুরুষ, ৭৬ জন নারী এবং ৪ জন শিশু রয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য তাদের কেলানটান, পেরাক ও সেলাঙ্গরের ডিটেনশন ডিপোতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়া জুড়ে পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে মোট ৮৩ হাজার ৯৯৪ জন অনিয়মিত বা অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের এই ঘটনা সেই ধারাবাহিক অভিযানেরই সর্বশেষ সংযোজন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...