বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলেও দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না থাকায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরা বেগম বলেন, তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো— সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ধরে ১১তম গ্রেড প্রদান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা এবং ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন। তিনি উল্লেখ করেন, বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তব অগ্রগতি না থাকায় পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির পথ বেছে নিতে হয়েছে।
সংগঠনের আহ্বায়ক শাহীনূর আকতার রাতে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সরকার দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও অগ্রগতি না থাকায় কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ না আসায় সংগঠন আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন ও লাগাতার অনশনের কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এ সিদ্ধান্তে সহকারী শিক্ষকরা সন্তুষ্ট নন।
সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, নার্স, কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি নিয়েই দশম গ্রেড পাচ্ছেন। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্নাতক ডিগ্রির পাশাপাশি সিএনএড, বিপিএড কিংবা বিটিপিটি কোর্স সম্পন্ন করেও এখনো ১৩তম গ্রেডেই রয়েছেন।
এই বৈষম্যের অবসানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে সহকারী শিক্ষকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...