Logo Logo

গোপালগঞ্জে দুধ পান করল ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার শিক্ষার্থী


Splash Image

জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় গোপালগঞ্জের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


রোববার জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহায়তায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

সদর উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নিলখী দাখিল মাদ্রাসা এবং বাঁশবাড়ি-ঘোষগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানো হয়। দুপুরে নিলখী দাখিল মাদ্রাসায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমীন।

মাদ্রাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মো. আল মাসুদ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার। আলোচনা সভা শেষে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীর হাতে ২ হাজার টাকা করে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এরপর মাদ্রাসার ৩০০ শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়।

বিকালে দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৪০০ শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার রুহুল আমীন এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার। সভার সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম দেলোয়ার হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিনিয়র সরকারি শিক্ষক তুহিন ঠাকুর। পরে রচনা প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীর হাতে ২ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এদিকে সকালেই বাঁশবাড়ি-ঘোষগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রভাস চন্দ্র সেন।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন, শিক্ষার্থীদের দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। দুধ পান করলে শিক্ষার্থীদের গ্রোথ, মেধা, মনন, শারীরিক সক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে তারা পড়াশোনা ও খেলাধুলায় আরও মনোযোগী হবে এবং ভবিষ্যতে সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে। এ কারণেই মিল্ক ফিডিং কর্মসূচি নিয়ে স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...