Logo Logo

হাদিকে হত্যাচেষ্টার মামলায় পাঁচ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর


Splash Image

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদের স্ত্রীসহ পাঁচ আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে রাখা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ, এবং ফয়সালের ঘনিষ্ঠ বান্ধবি মারিয়া আক্তার লিমা।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আদালতে আসামিদের হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলা দায়ের করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা, বিপজ্জনক অস্ত্র ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় গুরুতর আঘাত এবং দুষ্কর্মে সহায়তা, সহ দণ্ডবিধির একাধিক ধারায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সাবেক সরকারের হত্যার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল। সেই সময় শরিফ ওসমান হাদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অভ্যুত্থানের পর তিনি রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ গঠন করে মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন বক্তব্য দেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে পল্টন থানাধীন বক্স কালভার্ট রোডে অটোরিক্সায় বহনকালে মোটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

শরিফ ওসমান হাদি মাথা ও ডান কানের নিচে গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হেলমেট পরিহিত দুই দুষ্কৃতিকারী মোটরসাইকেল থেকে গুলি চালায়। ঘটনার সময় একই অটোরিক্সায় থাকা তার ভাই ওমর বিন হাদি ও অন্যান্য সহকর্মীরা আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদকে শনাক্ত করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং এর উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোবল দুর্বল করা, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা এবং নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করা। ঘটনার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...