বিজ্ঞাপন
গুগলের এক্স (X) বিভাগ থেকে উদ্ভূত এই প্রকল্পটি মূলত দুইটি উঁচু টাওয়ার বা বিল্ডিংয়ের মাঝে একটি দৃশ্যমান নয়, এমন লাইট বিম ব্যবহার করে। এই আলো-রশ্মির মধ্য দিয়েই দ্রুতগতির ডেটা স্থানান্তর হয়, যা ফাইবারের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। গুগলের দাবি অনুযায়ী, এই প্রযুক্তির স্পিড Starlink-এর থেকেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি হতে পারে।
Taara ইতোমধ্যেই আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছে। বিশেষ করে যে-সব এলাকা নদী, জঙ্গল বা পাহাড়ঘেরা, যেখানে ফাইবার অপটিক পৌঁছায় না, সেখানে Taara সহজেই কাজ করতে সক্ষম। শুধু তা-ই নয়, এই প্রযুক্তির ইনস্টলেশন খরচ কম এবং খুব দ্রুত সেটআপ করা যায়।
যদিও খারাপ আবহাওয়া বা ঘন মেঘে সাময়িক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়, তবে গুগলের AI প্রযুক্তি দিয়ে এসব সমস্যাও যথাযথভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের ডিজিটাল বিশ্বে এমন লেজার-ভিত্তিক প্রযুক্তি অনুন্নত বা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হয়ে উঠতে পারে। ‘Project Loon’ এর মতো উদ্ভাবনী প্রকল্পের ধারাবাহিকতায় Taara আরও বাস্তবসম্মত, টেকসই ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক একটি পথ।
বর্তমানে গুগলের লক্ষ্য—এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগে নতুন অধ্যায় সূচনা করা।