বিজ্ঞাপন
প্রায় ১.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ মান্দার খাল সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থে কাজের নামে চলছে লোক দেখানো কার্যক্রম, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমানে খালটিতে ৮-১০ হাত পানি রয়েছে। এই অবস্থায় এক্সকাভেটর (ভেকু) নামিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম দেখিয়ে চলছে কচুরিপানা সরানোর নামে ফসলি জমিতে ফেলা। এতে একদিকে যেমন খালের কোনো কার্যকর খননই হচ্ছে না, অন্যদিকে কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকরা বলছেন, খালের কোনো মাটি তোলা হচ্ছে না- শুধু সরকারি অর্থ লোপাটের ছক চলছে। একজন স্থানীয় কৃষক ক্ষোভের সাথে বলেন, “এইভাবে যদি সংস্কার হয়, তাহলে খাল থাকবে যেমন ছিল, আর আমাদের ফসল যাবে পানিতে!”
এলাকাবাসীর দাবি, খাল খননের নামে এই ধরনের প্রহসন বহু বছর ধরেই চলে আসছে। এমনকি টুঙ্গিপাড়ার অন্যান্য খালগুলোতেও একই ধরণের নামমাত্র খনন হয়েছে, যেগুলোর তেমন কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি।
এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসডিও জানান, “যতটুকু কাজ হবে, ততটুকুই বিল দেওয়া হবে এবং প্রকল্প তদারকির আওতায় থাকবে।” তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মন্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। দায়িত্বপ্রাপ্ত তাইজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা রিপোর্ট করেন, পরে কি হবে আমরা দেখবো।”
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গুরু ও ঠাকুর মেম্বারও একই ধরনের মন্তব্য করেন- “আপনাদের কাজ রিপোর্ট করা, আমরা পাউবোকে বুঝিয়ে নেবো।”
এদিকে, পাউবো টুঙ্গিপাড়ার এসও শাহিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমনকি অফিসে গিয়েও কর্মকর্তার দেখা মেলেনি।
এলাকাবাসী দাবি তুলেছেন- প্রকল্পের কার্যকারিতা যাচাই করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সংস্কার কাজ নিশ্চিত করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিবেদক - ফারহান লাবিব, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...